রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

 সুতনু হালদারের কবিতা 


ভাষাসৈনিক


যুবক রোদ্দুরের আলজিভ

নিছক তৃষ্ণার প্লাজমায় ভরা 

অক্ষর দিয়ে মেপে চলে তীব্রতা


ঘুম ঘোরে জেগে থাকে স্বর্ণকায়া


মুখমণ্ডল জুড়ে জন্মিয়েছে অজস্র প্রবাল

সমস্ত চঞ্চলতায় আচ্ছাদিত ফেনিল সাগর

কাকভোরে শুধু এক নয় 

প্রতিদিন সুনিপুণ জ্যোতিষ্ক


একটু একটু করে ভাষাসৈনিকের

ডমরু শীৎকার শোনা যায়


নাভিকুণ্ড জুড়ে জাগ্রত হয়ে ওঠে

দুরন্ত শস্যকণার প্রাণবন্ত ডিকোডিং 


পৃথিবীর মেনোপজ


তারপর হাঁটতে হাঁটতে ক্রমশ নদী হয়ে যাই

                        ।। 

নদীর ভেতরে লুকিয়ে থাকা স্মৃতিকথা

এগিয়ে এসে আলিঙ্গন করে


সমস্ত আলিঙ্গনের নেপথ্যে

কয়েকটা একত্রিত দুপুর উতলে ওঠে


আলঝেইমার আক্রান্ত জলে 

আবেগ-শিশিরের নাদব্রহ্ম

পৃথিবীর মেনোপজ মিইয়ে 

রক্তের রোঁয়া ওঠা নির্যাস

                    ।।

ভ্রাম্যমাণ জলস্তম্ভে অগোচর ভাষ্যকার


ভাষাশহীদ 


ডিভাইডারে ওঁৎ পেতে বসে থাকে স্ফটিকার ট্যুইট 

বীজমন্ত্রের লুব্রিকেটে চুরমার বিস্ফোরণ! 

কয়েকটা শব্দ...রক্ত, ভাষা-শহীদদের আর্তনাদ


নিরবধি উচ্চারণ ওঁঃ স্বাহা, 

ভেঙে যায় আগুনের ব্যারিকেড 

পুচ্ছকেশে বিনম্র ধোঁয়া, লজ্জাবস্ত্র;

কাজের গ্রাফিক্সে ঘিলু, সম্মতিতে

গর্জে ওঠে ফেব্রুয়ারির একুশ


সীমানার চিন্ময়ী অঙ্গরাগে

ডিনামাইটের পর্যটক মিম 


প্রতিটা শব্দই আসলে

এক একটা ভাষা আন্দোলন




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাঙালির পুরনো কাসুন্দি ।। বারাকপুর স্টেশন পত্রিকা

  বাঙালির পুরনো কাসুন্দি      — উষ্ণিক ভট্টাচার্য  কাসুন্দি বাঙালির এক চিরকালীন ঐতিহ্য। রান্না ও স্বাদের জগতে বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজ...